Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার অর্জন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়, সিলেট এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। মুজিব বর্ষে বাংলার মাটিতে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 


সরকারি শিশু পরিবার

সরকারি শিশু পরিবার

সরকারি শিশু পরিবার:

পিতৃমাতৃহীন বা পিতৃহীন এতিম শিশুদের ভরণপোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত মর্যাদায় সমাজে পুনর্বাসনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতর সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনা করছে।


কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ:

সমাজসেবা অধিদফতরের প্রতিষ্ঠান শাখা সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে তত্তাবধায়ক/উপ-তত্ত্বাবধায়ক সরকারি শিশু পরিবার পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ মাঠ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে শিশু পরিবার পরিচালনার জন্য  একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক/উপ-তত্ত্বাবধায়ক উক্ত কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া উপ-পরিচালক, সমাজসেবা অধিফতরের নেতৃত্বে সরকারি শিশু পরিবারের ভর্তি কমিটি শিশুদের ভর্তির ব্যবস্থা করে থাকে।
সেবা সমূহ:

  • ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এতিম শিশুদের প্রতিপালন (বিশেষ ক্ষেত্রে ১৮ বছরের উর্দ্ধে নিবাসীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের সুযোগ রয়েছে)
  • পারিবারিক পরিবেশে স্নেহ-ভালবাসা ও আদর-যত্নের সাথে লালন পালন
  • শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান
  • নিবাসীদের শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক উৎকর্ষতা সাধন
  • পুনর্বাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ
  • প্রতিষ্ঠানের নিবাসীদের শিক্ষার মানোন্নয়নে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বাৎসরিক মেধাবৃত্তি প্রদান
    সেবা গ্রহীতা:
  • বছর বয়সী এতিম অর্থাৎ পিতৃহীন বা পিতৃমাতৃহীন দরিদ্র শিশু।
    সেবাদান কেন্দ্র ও আসন:

          জেলা সদর ও কিছু কিছু উপজেলায় অবস্থিত ৪৩টি বালক, ৪১টি বালিকা ও ১টি মিশ্র সর্বমোট মোট ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবার পরিচালিত হচ্ছে। তন্মধ্যে-

  • ১৭৫ আসন বিশিষ্ট -২৩টি;
  • ১৫০ আসন বিশিষ্ট -১টি;
  • ১২৫ আসন বিশিষ্ট -১টি;
  • ১০০ আসন বিশিষ্ট -৬০টি।

         ৮৫ টি শিশু পরিবারে মোট অনুমোদিত আসন সংখ্যা ১০৩০০টি। তন্মধ্যে-

  • বালক আসন -৫৪৫০টি;
  • বালিকা আসন -৪৮৫০টি।

        শিশু পরিবারসমূহের তালিকা ডাউনলোড করুনঃ

সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):

নির্ধারিত ফরমে ৬-৯ বছরের এতিম শিশুর অভিভাবকরা আবেদনপত্র দাখিল করবেন। প্রাপ্ত আবেদনপত্রের খসড়া তালিকা প্রস্ত্ততপূর্বক তত্ত্বাবধায়ক/ঊপ-তত্ত্বাবধায়ক ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করেন। সভায় নিবাসী নির্বাচনপূর্বক আবেদনকারীকে অবহিত করার মাধ্যমে ভর্তি করে এতিম নিবাসী শিশুকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ভরণ-পোষণ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়।

ভর্তি প্রক্রিয়া:

  • প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে অভিভাবক কর্তৃক নির্ধারিত ফর্মে সংশ্লিষ্ট শিশু পরিবারে অথবা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদন দাখিল;
  • সিভিল সার্জন বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদকারী এতিম শিশুর বয়স ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা যাচাই;
  • ভর্তি কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন;
  • বিনামূল্যে এতিম শিশু ভর্তি।
    সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/ নীতিমালা:

    ১. সরকারি শিশু সদন / শিশু পরিবার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০০২

    ২. শিশু আইন ২০১৩

    সেবা প্রদানে নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র:
  • শিশু পরিবার পরিচালনায় কোন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;
  • যাকাত, ফিতরা, দানসহ ইত্যাদি আর্থিক সহায়তা করা;
  • শিশুদের শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে যে কোন সহযোগিতা;
  • শিশুর পুনর্বাসনে খাদ্য/পোষাক, আর্থিক ভাবে, চাকুরী প্রদানের মাধ্যমে বা তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করা;
  • শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে যে কোন ধরণের সহযোগিতা।
    সেবা প্রদানের সময়সীমা:
  • শিশু পরিবারে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ১ মাস;
  • শিশু ভর্তি হওয়ার পর অন্যান্য সেবা শিশুর বয়স ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত।

সরকারি শিশু পরিবারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিশুদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ:

  • সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক/উপতত্ত্বাবধায়ক;
     

বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ:

ক্রম

        পদবী    

       মোবাইল নং

              ই-মেইল

১.

উপপরিচালক ০১৭১১৯৪৫৪৮৫ rafiquedss91@gmail.com

২.

সহকারী পরিচালক

০১৭০৮৪১৪০০৮

sm.mokter78@gmail.com



তথ্য সুত্র : সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়