Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Success and progress

সাফল্যগাঁথা ও অগ্রগতি

মানব সম্পদ উন্নয়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাফল্য গাঁথা

 

শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম শহর এলাকার নিম্ন আয়ভুক্ত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং যত্নশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা ও সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে শহর এলাকার পিছিয়েপড়া ও সমস্যাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও জীবনমান উন্নয়নের অভিলক্ষ্যে লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে চলেছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ২৩টি ট্রেড এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। এসব ট্রেড এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেকেই সফল হয়েছেন। এমন কিছু সফল প্রশিক্ষণার্থীদের সাফল্য চিত্র নিচে দেয়া হল।

 

স্বপ্ন হলো সত্যি ....

আনিস হামজা কোরাইশী

শহর সমাজসেবা কার্যালয়, জামালপুর

দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোক্তা/স্বাবলম্বি হয়েছে

আনিস হামজা কোরাইশী, পিতা: আমির হামজা কোরাইশী, মাতা: সাহানা পারভীন কোরাইশী, গ্রাম: বজ্রাপুর, থানা ও জেলা: জামালপুর সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে জানু-জুন/১৪ সেশনে কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন কোর্সে ভর্তি হয়ে সফলতার সহিত এ প্লাস পেয়ে কোর্স সম্পন্ন করেন। কোর্স সম্পন্ন করার পর ২০১৭ সালে তিনি নিজেই জামালপুর শহরের প্রানকেন্দ্রে দয়াময়া মোড়ে ‘‘জামালপুর আইটি’’ নামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেন। বেকার ছেলে মেয়েদের নাম মাত্র খরচে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সের মাধ্যমে বেকার ছেলে মেয়েদের আউটসোর্সিং শেখান। তার কাছ থেকেই আউটসোর্সিং কাজ শিখে এখন অনেকেই আজ স্বাবলম্বী। বর্তমানে এসব কাজের পাশাপাশি তিনি অপরাধ সংশোধন ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় জামালপুর জেলা কারাগারে কয়েদিদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তার এসব কাজের ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ছিল দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬ মাস মেয়াদী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।

দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এখন সফল প্রশিক্ষক....

 

মোঃ মাহমুদুল হাসান ঈমন

শহর সমাজসেবা কার্যালয়, যশোর

মোঃ মাহমুদুল হাসান ঈমন। বাসা: ঝিকরগাছা, যশোর। হাসিখুশি স্বভারে এই ছেলেটি ২০১৫ সালে অর্নাস পড়ার সময় নিজের ভিতরে আত্নর্নিভরশীল হবার মানসিকতা জম্ম নেয়। সমাজে বেকারক্তের অভিশাপ দেখে  সে চিন্তা করে পড়াশুনা করে কি করব যদি চাকুরী না পায়। হাজার হাজার বেকার, আমি ছাত্র হিসেবে খুব বেশী ভাল না। তাছাড়া ভাল ছাত্ররা এখন চাকুরী পাচ্ছে না। ছেলেটা সব সময় এইসব চিন্তা করে হতাশ থাকত। নিচের প্রতি যত্ন নিতো না, চুল বড় বড় হয়ে যাচ্ছে, এই বয়েসেই মুখ ভরা দাড়ি হয়ে যাচ্ছে কোন দিকেই তার লক্ষ্য নেই। তাছাড়া স্বভাবগতভাবেই ছেলেটি সবসময় একটু আনমনা থাকত, সব সময় কিছু একটা চিন্তা করে কিন্তু কাউকে বলত না। ছেলেটার এই ভবঘুরে ভাব দেখে তার মামা মোঃ জাকির হোসেন ২০১৫ সালে জানুয়ারী-জুন সেশনে তাকে জোর করে শহর সমাজসেবা কার্যালয়, যশোরে গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড আউটসোর্সিং কোর্সে ভর্তি করে দেয়। তবুও ছেলেটা ঠিকমত ক্লাস করত না। স্যারের দেওয়া বাসার কাজ গুলিও ঠিকমত করত না। স্যার তাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করত প্রয়োজনে ভিডিও টিউটোরিয়ালও সরসবাহ করত। ২-৩ মাস এভাবে চলার পর তার মধ্যে একটু একটু পরিবতন লক্ষ্য করা যায় এবং ক্লাসে মনযোগী হতে থাকে। শহর সমাজসেবা কার্যালয়, যশোর হতে কোস শেষ করে সে আরও উন্নত প্রশিক্ষণের আশার ঢাকায় যায়। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে এসে নিজেই নিজেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর আউসসোর্সিং এর চেষ্টা করতে থাকে। আল্লাহর রহমতে অল্পদিনেই সাফল্যের মুখ দেখে। বতমানে সে মাস্টাস শেষে করেছে এবং ঘরে বসেই প্রায় ৪০,০০০ টাকার উপরের আয় করছে এবং অন্যান্য অনেকের আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছে।

 

দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এখন সফল প্রশিক্ষক....

 

 

অপূব কুমার বিশ্বাস

শহর সমাজসেবা কার্যালয়, যশোর

 

অপূব কুমার বিশ্বাস, পিতা একজন দিন মজুর। অনেক কষ্ট করে ডিপ্লোমা ইঞ্জি: পড়াশুনা শেষ করে হতাশ, এই শিক্ষাই সে ভাল কোন চাকুরি পাচ্ছে না। আবার টাকা পয়সাও নেই যে BSC পড়বে। ২০১৫ সালে সে একটি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে সাধারণ কমচারী হিসেবে চাকুরী করত। হাসিখুশি স্বভাবের ছেলেটি একটু চঞ্জল প্রকৃতির। যে কোন ভাবেই হোক না কেন তাকে আউটসোর্সিং করে টাকা স্বাবলম্বী হতে হবে । আউটসোর্সিং করতে একটু ইংরেজী জানা প্রয়োজন তা সে একটু একটু ইংরেজী শেখার চেষ্টাও করে।  আউটসোর্সিং এর প্রতি তার প্রবল আগ্রহ নিয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারী-জুন সেশনে শহর সমাজসেবা কার্যালয়, যশোরে গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড আউটসোসিং কোসে ভর্তি হয়। 

 

 

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রশিক্ষণার্থীর তথ্য

২০১৫-১৬ অর্থ বছর পর্যন্ত মোট ১,৯৪,৭৩৩ জন

সেশন

ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা

উর্ত্তিণ প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা

উর্ত্তীর্ণের হার

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মোট প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা

নারী

পুরুষ

মোট

নারী

পুরুষ

মোট

জুলাই-ডিসেম্বর/২০১৬

৪৪৪২

৬৬৬৩

১১১০৫

৩৯৭৮

৫৯৬৫

৯৯৪৩

৮৯.৮৭%

২০৪৬৩জন

২০১-১ অর্থ বছর পর্যন্ত মোট ২,১৫,১৯৬ জন

জানুয়ারী-জুন/২০১৭

৩৭৪৪

৫৬১৬

৯৩৫৮

৩৫১০

৫২৬৪

৮৭৭৪

৯৩.৭৫%

মোট

২০৪৬৩

 

১৮৭১৭

 

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রশিক্ষণার্থীর তথ্য

 

সেশন

 

ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা

উর্ত্তির্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

উর্ত্তীর্ণের

হার

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা

২০১৭-১ অর্থ বছর পর্যন্ত মোট ২,৩৮,৫০৫জন

নারী

পুরুষ

মোট

নারী

পুরুষ

 

মোট

জুলাই-ডিসেম্বর/২০১৭

৪২৪০

৬৩৬০

১০৬০০

৩২৪৪

৪৮৬৬

৮১১০

৯৩.৭৫%

২৩৩০৯

জন

জানুয়ারী-জুন/২০১৮

৫০৮৩

৭৬২৬

১২৭০৯

৩৯৪৯

৫৯০৮

৯৮৪৭

৯১.৫৭%

মোট

২৩৩০৯

মোট

১৭৯৫৭

 

 

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রশিক্ষণার্থীর তথ্য

২০১৮-১

অর্থ বছর পর্যন্ত

২,৬২,১০৫ জন

 

সেশন

ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

উর্ত্তীর্ণের

হার

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মোট প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা

নারী

পুরুষ

মোট

নারী

পুরুষ

মোট

 

জুলাই-ডিসেম্বর/

২০১৮

৫০৫৪

৭১১৩

১২১৬৭

৪৫৪০

৬৮০৯

১১৩৪৯

৯৬.৫৮%

২৩৬০০ জন

মোট

জানুয়ারি-জুন/২০১৯

৪৫৭৩

৬৮৬০

১১৪৩৩

৪৩৮৬

৬৫৮০

১০৯৬৬

৮৪.১৬%

মোট ২৩৬০০

মোট

 

২২৩১৫

২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রশিক্ষণার্থীর তথ্য

সেশন

ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

উর্ত্তীর্ণের

হার

২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা

 

 

নারী

পুরুষ

মোট

নারী

পুরুষ

মোট

 

 

২০১৯-২০

অর্থ বছর পর্যন্ত

২,৮২,৪৭০ জন

 

জুলাই-ডিসেম্বর/

২০১৯

৫০৪০

৭৫৬০

১২৬০০

৪০৩৫

৬০৫১

১০০৮৬

৯৭.৯২%

১০০৮৬

জানুয়ারি-জুন/২০২০

৪৫৪৩

৫৭০৯

১০২৭৯

৩৯৮৪

৫৯৭৫

৯৯৫৯

৯৫.৯০%

১০২৭৯

মোট

৯৫৯৩

১৩২৬৯

২২৮৬২

৮০১৯

১২০২৬

২০০৪৫

 

২০৩৬৫

২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রশিক্ষণার্থীর তথ্য

২০২০-২১

অর্থ বছর পর্যন্ত

২,৯৯,২৪৮ জন

 

 

সেশন

ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

উর্ত্তীর্ণের

হার

২০২০-২১ অর্থ বছরে মোট প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা

জুলাই-ডিসেম্বর/

২০২০

নারী

পুরুষ

মোট

নারী

পুরুষ

মোট

 

২৯৪৯

৪৪২২

৭৩৭১

১০১৪

১৫২০

২৫৩৪

৯২.৪০%

১৬৭৭৮

জানুয়ারি-জুন/

২০২১

৫৬৪৪

৩৭৬৩

৯৪০৭

২৮৩৭

৪২৫৪

৭০৯১

৯৫.০৭%

  

২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রশিক্ষণার্থীর তথ্য

 

সেশন

নারী

পুরুষ

মোট

নারী

পুরুষ

মোট

উত্তীর্ণের হার

২০২১-২২ অর্থ বছরে মোট প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা

২০২১-২২

অর্থ বছর পর্যন্ত

৩,১৪,৯০৫ জন 

 

জুলাই-ডিসেম্বর/

২০২১

২৭৩৪

৪১০১

৬৮৩৫

১৭৮৬

২৬৮১

৪৪৬৭

৯২.৬৬%

১৫৬৫৭ জন

 

জানুয়ারি-জুন/২০২২ ৩৫২৯ ৫২৯৩ ৮৮২২ পরীক্ষা এখনো সম্পন্ন হয়নি

 

  • ২০১৫-১৬ অর্থ বছর পর্যন্ত মোট ১,৯৪,৭৩৩ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের নিজস্ব  কারিকুলাম অনুযায়ী।
  • বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনে বোর্ডের কারিকুলাম অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১২ টি সেশনে মোট প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ১,২০,১৭২ জন, এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুরু থেকে এই পর্যন্ত মোট প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ৩,১৪,৯০৫ জন ।
  • এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে কওমী ও আলিয়া মাদ্রাসার ১০০০ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • ৮০ টি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) এর নিবন্ধনের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র প্রেরণ কার হয়েছে। বর্তমানে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত ৪৭ টি কেন্দ্র নিবন্ধিত হয়েছে। অন্য কেন্দ্রগুলোর নিবন্ধনের কাজ এনএসডিএ (NSDA)  তে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
  • ইতোমধ্যে সকল সরকারি দপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম একই প্লাটফর্মে আনয়নের অংশ হিসেবে ICT বিভাগের ‍a2i প্রকল্প কর্তৃক dss.nise.gov.bd প্রশিক্ষণ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সফটওয়্যার এর কাজ চলমান রয়েছে। নির্মানকাজ সম্পন্ন হলে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ আরও সহজতর হবে।
  • ০৯/০২/২০২২ তারিখে সফটওয়্যারটির ডেমো টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় সফটওয়্যারটি নির্মানকাজ চলমান রয়েছে। নির্মানকাজ সম্পন্ন হলে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ আরও সহজতর হবে।
  • বিগত ১০ বছরের ইউসিডি’র প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অগ্রগতির চিত্র:

২০১২-১৩

২০১৩-১৪

২০১৪-১৫

২০১৫-১৬

২০১৬-১৭

২০১৭-১৮

২০১৮-১৯

২০১৯-২০

২০২০-২১

২০২১-২২

১০

১৩০৫৩

১৪৬০১

১৪৮৫৫

১৫৬৫৪

২০৪৬৩

২৩৩০৯

২৩৬০০

২০৩৬৫

১৬৭৭৮

১৫৬৫৭


সূত্র : সমাজসেবা অধিদফতর, ঢাকা এর ওয়েবসাইড